Saturday, October 4, 2014

গত কিছুদিনের মুখরোচক হিন্দি-বাংলা মিলিয়ে মিশিয়ে সাঁজসভেরা পুজোর ঘ্রানকে জনমানসে জিইয়ে রেখেছিল। নোনাধরা আরডি, কিশোর, আশা, লতা, মান্না, বীরুভদ্র, স্ত্রোতপাঠ, 'জয় রামকি সীতাকি', লোপা ইত্যাদি ইত্যাদি। যখনই বাড়িতে শান্তিতে ঝিমবে, আলত জিরিয়ে নেবে অমনি মহানাদে। তবে ঘুম দেরিতে ভাঙলেও দশমীর সকালে চোখের পাতা খোলালো সেতারের শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া মিহি জলস্তরের মতো, কোমল আলেখ্যে মৃদুমন্দ ছন্দ। প্রবলতায় এতটাই চাপা যে ফেরতা হাওয়ায় কুড়িয়ে-বাড়িয়ে পেতে হয় সে স্বাদ। মেঘলা সকাল ছিল, তবুও প্রতিটা আঘ্রাণে পুরবের পীতবর্ণ স্নিগ্ধতা। আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়া সূক্ষ্মতায় মনের অলিন্দে বসন্তবৌরী। নাছোড় আবেশধ্বনি। এই এক মূর্ছনায় লেখা কাব্যের সমস্ত আখ্যান। বার বার ফিরে আসছে। আদৌ আসছে কি? বর্ণে আগেরটা থেকে আর বেশী নবপথদিশারী। কোথাও এক দীপ্ত উন্মেষ ঘটে। বছরের জমা হাহুতাশ মিশে মিশে ধুয়ে যাচ্ছে। পরিস্রুত হওয়াটা তেলতেলে ঘিঞ্জি মোচ্ছবে হয় না। আলাদা পরিসর প্রয়োজন যখন দেবীবরণ সমাপ্ত, প্যান্ডেলও খোলা হবে প্রায়, হোল নাইট করে গেরস্তের নিশ্চিন্তের ঘুম। জানান দেয় সেইসব বিস্মিত শ্রোতাদের, এখনও জলের প্রতিচ্ছবিতে বিনীতারা কাজল পরে। প্রায়ান্ধকার ফুটপাতে বসে এখনও কেউ দু'দশটা বাস ও চলমান মৃতদেহদের বাড়ি ফিরতে দেখে। দাপুটে দেমাকি লীলাদের খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খুঁজে যায় অস্ফুট হেরে যাওয়া অপুদের সারি। কারণ হেরে চলাটা নিয়মমাফিক। মাঝসমুদ্রে দাঁড়িয়ে চিৎকার করেও যে জট আরও ফেঁসে যায়। শরীরে অতো জলও নেই যে কোনও কান্না বেরবে। শিরা শুকিয়ে মিলিয়ে গেছে। যদি কিছু মণিমুক্ত পড়ে। আগে দৌড়ে পৌঁছতে পারা চাই। নাহলে বিষাদের এগরোল, হলুদ হয়ে আসা পেচ্ছাপ ও অবান্তর স্বমেহন। আজকাল খেলনার দোকান চোখে পড়ে না। ওর পাড়ায় ফি শনিবার ছবিওয়ালা আসে। আমাদের পাড়াটায় ছাপোষা বেশ্যালয়, কোনাঘুঁজিতে। পেটের দু'পাশেই ব্যথা হলে বুঝি মনখারাপ হয়েছে। তখন আর সেতার শোনা যায়না। এত গাছপালা, জমি বাড়ির মধ্যে দিয়ে শব্দ পৌছয়ে না বোধহয়। কে জানে,            

No comments:

Post a Comment

Your Thoughts ...