Sunday, November 22, 2015

Sunday, September 27, 2015


____________________
Heavenly Flower in Devils’ Hands | Exquisite Corpse
তাকে যত তাড়াই দূরে দূরে
তবু সে আসে মেঘলা চোখে ঘুরে ফিরে
থাকি আমি ভয়েই দূরে দূরে
যদি সে গেয়ে ওঠে অন্য কোন সুরে

আজ কাল বা পরশু যদি সে এসে দাঁড়ায়
ছায়ার মত আমার ছায়ায়
ছায়ারও ছায়াতে সে অন্যজন
ভরদুপুরে একলারাতে অন্যমন

সে অবুঝ খেয়ালি, সে ভীষণ একাকী
আবেগ সবই তার তো ফাঁকি
এখনও ভাবে সে ফুটবে পলাশ
ডাকবে কোকিল বিছানায় সে ফিরবে পাশ
______________________________
Songs of the Loony | 1999

Wednesday, September 16, 2015


"সেই ঘোড়া আর তার আরোহী এখন এই শুন্য হাটের অলিতে-গলিতে ঘুরে বেড়ায়, যেন এখনো সেখানে হাট, যেন এখনো তাদের মানুষজন ঠেলে-ঠেলেই এগতে হচ্ছে। কিন্তু এখন আর অশ্বারোহী তার ভিক্ষার ঝুলি কাঠির ডগায় ঝুলিয়ে এগিয়ে দিচ্ছে না। এখন আর ঘোড়াটাকে পেছনে ধাক্কা খাওয়ায় চমকে উঠতে হয় না। আর অস্পষ্ট চাঁদনিতে সেই ঘোড়া আর অশ্বারোহী ঘুমুতে-ঘুমুতে প্রায় নিরজন হাটের অলিগলি দিয়ে পাক খেতে-খেতে যেন মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে বস্তির দিকেই চলেছে। হতে পারে, এই অশ্বারোহী অন্ধ। হতে পারে, এই ঘোড়া অন্ধ। হতে পারে, এই ঘোড়া আর অশ্বারোহী দু-জনেই ঘুমিয়ে পড়েছে। কোনো এক সময়ে পথ পেয়ে যাবে - তারপর আকাশের পটভূমিতে নদীর চর ও অরণ্যের দূরত্বকে এই ঘোড়া আর তার আরোহী আদিগন্ত প্রান্তরের আলে-আলে কমিয়ে আনবে। আরোহী কখনো মিশে যাবে, কখনো ঘোড়াটির লম্বিত গলাটাই ঝুলে থাকবে, কখনো ঘাড়ের ভিতর গুঁজে যাওয়া মাথা নিয়ে আরোহীর ছায়াটুকু ভেসে থাকবে, কখনো ঘোড়ার পিছনটা একটা ভাঙা মেশিনের মত লাফাতে-লাফাতে যাবে - যেন কেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে, কখনো নদীর দুই পাড়ে ছায়া - মাঝখানের জলটুকুতে ওদের ছায়া, কখনো জলহীন নদীখাতটুকু যেন ঘোড়ার চারটি পায়ের ভঙ্গুরতা থেকে উজিয়ে গেছে, কখনো নদীর বাঁধের ওপর ছায়ায়-আলোয়, নদীর ভিতর-চরে বালিয়াড়ি ভেঙে, বা অরণ্যের কোনো গাছতলায়। এখন মধ্যরাত্রিতে এই শূন্য হাটে বোঝা যায় না, এই ঘোড়া ও তার আরোহীর কোথাও একটা অবতরণ আছে।"     


_________________________
'শেষহাটি থেকে হাট শেষ'
 
"অন্ধকারটাই প্রধান। মাঝে-মাঝে আলর ছোঁয়া, আবার কোনো-কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে দু-একবার দিগন্ত বা কোনো অন্যমনস্কতায় আকাশ চোখে পড়লে ব্যাপ্ত অন্ধকারটাই দেখা যায়। আলোর নানা বৃত্তেও শুধু উজ্জ্বলতা নয়। কোনো মদেশিয়া রমণীর পিঠে কাপড় দিয়ে বাঁধা বাচ্চার মাথা দোল খায়, ওপরেই জেগে থাকে লাল ও কিছু অস্পষ্ট রঙের বুনো ফুলের ঝাড়, কালো চুলে। কালো মুখ অন্ধকারের সঙ্গে কোন অনির্দিষ্ট পরিপ্রেক্ষিতে গিয়ে মেশে। নাইলনের উজ্জ্বলতা পিছলে যায় কোনো তাগড়া আদিবাসী বুক থেকে। ধনুকের একটা মাথা দেখা যায়। রাজবংশী রমণীর ফোতার ওপরে উঠে আসে নগ্ন হাত, গলা- কাঁধ। অন্ধকারে ঝিলিক দেয় কুচকুচে আদিবাসী রমণীর ঝকঝকে দাঁতের সারি। কোথাও নিষ্ঠুরতা ঘটে যেতে পারে। বটগাছের গুঁড়ির মত ভুয়োদর্শী মোঙ্গলয়েড মুখ চামড়ার অসংখ্য কুঞ্চনে নদীর চরের মত জেগে থাকে। কোথাও জমি চষা হয়ে গেছে। মেদহীন তীব্র পাহাড়ি চিবুকে পার্শ্বমুখের শান। টিলার মাথা থেকে সমতল দেখা যায়। এ হাটের বেচাকেনা শেষে এখন যেন ভিড়েরই মুখ - বহু শত বর্ষের আদিবাসী ঘরানার মুখোশে অলঙ্কৃত সে-মুখময় শুধু বিস্ময় বা বিস্ময়ের অবসান। রেখা, রঙ আর অঙ্গসংস্থানে কোনো নতুনত্ব নেই, একটি মুখোশ থেকে আর-একটি মুখোশ আলাদা করা যায় না, অথচ প্রতিটি মুখোশই আলাদা হয়ে যায় অনিবার্য। এই দীর্ঘ-দীর্ঘ ছায়াসন্নিপাতে সেই মুখোশের ক্ষণিকতা অথচ তার বড় বেশি নির্দিষ্টতায় বিদ্যুচ্চমকিত অরণ্যের আভাস যেন খেলে-খেলে যায়। বা, কখনো, বিদ্যুচ্চমকের জন্য অরণ্যের অন্ধকার প্রতীক্ষা। সেই প্রতীক্ষাতেই নাচের গানে পাহাড়ের প্রতিধ্বনির ক্ষীণতা আসে। একাকী ঢোলে বোল ওঠে। কোন বিস্মৃত নির্ঝর বয়ে যায়। আর এই ভিড়, আর সওদা, আর কেনাবেচা, আর ভিড়, আর সওদার ভেতরে মিশে গিয়েও মিশতে পারে না, ভিড়ের হয়েও ভিড় থেকে যেতে পারে না, আরো একবার মেলায় এসেও যেন হারিয়ে যাওয়া আর ফিরে যাওয়ার মত বিষণ্ণ, আত্মবিস্মৃত, বিচ্ছিন্ন মুখ, মুখ, মুখের সারি। "

_____________
'এই হাটটা কেমন'
 

Sunday, March 1, 2015

Saturday, February 14, 2015

দুঃসম্পর্ক

কাঁচ দিয়ে দাগ কাটো ফেঁপে ওঠা পলেস্তারায় চামড়ায়; দেমাকি বীজগুড়ি যেরূপ আরাম প্রত্যাশা করে নখের কাছে। ছড়িয়ে দেওয়া চালের দানা, ট্যালট্যালে গালা ফ্যানের যৌবন অস্থির পাকস্থলীর কাছে যেমন, তেমনই। ফিনকি দেওয়া বারুদঝাঁঝে যতটা প্রশ্রয় ও পাপবোধ খেলা করে - শীৎকারে সুমধুর শোণিত সজ্জায় রাগ ও তৃপ্তি। ঠোঁটের কার্নিশ চেটে হায় সে আকুতি - আমি তো নোনাস্বাদ চিনিনি, আস্বাদ করিনি মিষ্টতার পরাগ। গোলাপবাগিচা রক্তাক্ত, সুদীর্ঘ বহু পক্ষকাল। কার সুখ বা কার ক্ষতির দস্তাবেজ এসব, শুধু কল্পনা ও স্রেফ কল্পনার কারুকার্য। চৌকাঠ পার হও, প্রাত্যহিক অপমানিত হও নিজের খামতির কাছে। জাগরুক হয় অনর্গল বমনেচ্ছা। বুদ্বুদন্যায় ন্যাড়া প্রশ্নাবলী। কে মেলাবে ডান ও বাম? আকাটমুখ্যু পালকছোঁওয়া তাকে পথ চিনিয়েছে। আবছায়া বিভঙ্গ তার আর্তি ও উল্লাস - বাড়ি ফেরার শেষ ট্রাম। ব্রহ্মচর্যের জীবিত চাউনির কাছে পরাভূত হয় তমসা ও পিপাসা। শীতকাল আসে, সুপর্ণাও। বা কোনও নিরুদ্দেশের চৈতালি চকমকি। এই নিরন্তর ট্রাপিজ খেলায় দুলতে থাকে বাকরুদ্ধ, অস্পষ্ট - স্বমেহনের নন্দিত নরকে ফিরতেই থাকে।    
______________________
ISI - Penfight'15. 
Most of the times, if not always, I stood blank, comprehending the scene for hours. rains washed, cars fumed, passed, days died. The deserted platforms reeked familiarity as seconds trickled. The echoing cafetarias were baffled by my altruistic hopes. The silent benches in those stagnant airs smirked at my naivete - oh sense, innocence!

I pretended to savour the stormy skies while stars were slowly decaying into futility. Probably you were fending off a leper. How possibly could I humor you? 

So change of vistas. this is my barefoot fealty to your priorities, and lovelessness. What is the opposite of acquaintance? in a tribute to your sense of reason, our paths will be parallel. i won't ask for those million trembling midnights, Dylan's poems and caramel touches, but plans of riding out into the moonlight on the streets of Vienna would never be the same. 

Friday, February 13, 2015

কাঁটা

দ্বিখণ্ডিত বলে ভুল করলে চলবে না, মাথায় গভীরধ্বনি চন্দ্রবিন্দুর উপস্থিতি আছে ব্বাপ! ফল, মাথা, ক্লাস, বিপদ প্রভৃতি পেরিয়ে যখন বিঁধল - গলায়, আঙ্গুলে, তখন বিল্লি চিল্লাল 'ম্যাও', মালি পাকড়ালো 'ধরেছি!' জীবন একমাত্রিক নয়, বহু ঘাতপ্রতিঘাত, কখনই সমান মন্দিরায় বাজে না, পথে পদে পদে বিপদ অটো, খানাখন্দ, জটিল ভগ্নাংশ। চিলিচিকেনের বাইরেও যে প্রাণাঘাতি কাঁটা হ্যাজ, শরদিন্দু না হলে কে শেখাত সে কি সুমহান রহস্য। অযত্নে লালিত ঝাড়বন থেকে দামি restaurentএ cutletএর ওপর অনভ্যাসের কাটাকাটি, অন্তে fail এবং অবশ্যই মোলায়ম শীতের ল্যাদাড়ুস past-time - কে মেলাবে? শত্রু বিনাশে দুর্ধর্ষ brainwave প্রতিপক্ষ ভাবেইনি, lastএ সব flat - আপনি আকেলা শের... তাই ইলিশের শয়তানি প্রেমিকার হৃদয়হীনতা পেরিয়ে প্রশ্নটা উট এবং ক্যাকটাসের, তখন কৈশোরের চটুলচমক Shefali Zariwalaর বর্তমান নিতম্বের সুডৌলতা সম্বন্ধে বুক ফালাফালা হয়।      

Wednesday, February 4, 2015

আমাদের যাবতীয় কুচকাওয়াজ যখন ধীরলয় ও নির্বিবাদ, দ্রিমি কাঁপে বেশ্যার নাভি, তার গ্রিবায় তাক করা পরিস্রুত রক্তপেচ্ছাপে নিজের ঘাড়ে মুখে ছিটে লাগাই, ঋতুর কানাচে খেলা করে রঙ্গিনমীন ও স্বর্ণমরাল, তৈলাক্ত বাকদ্বারে অশালীন পাঁচফোড়ন কি সুস্বাদ, সান্ধ্য লকপকে পুষ্পসম্ভারে আলোবাল্বে সহাস্য জুঁইফুলের চক্রাকার ল্যোরেল অপেক্ষা করে এবং অবশেষে অভুক্ত উঠে যায় চোরকাঁটার শহিদবেদিতে।

 
________________________
Be with and without me - moonasi.

Wednesday, January 21, 2015

Here's the derelict. The ostensibly suffocating spaces we call home. And yet we return. We haven't embraced the streets. In its fleeting essence, how desirous is the chasm of being a flâneur. You are always trying to catch the sky peeping in and out from the canopy of tall structures. And failing, return back to the cars and glazes. We love watching the bright red backlights, the modern-day fireflies, on the ashen-black fast tracks, and yet, we dread that those are the only lights we would ever be chasing. Jetsam of the brains pouring out on saber shots of flash, on the thick glass sheets. 

Driving home, that's light.   




_______________
"The Montgomery Chasm" - Jeremy Mann

Friday, January 16, 2015

Thursday, January 8, 2015

Little things you do for me
Nobody else make me feel good
Little things you say to me
Making me smile when no one else could
That's why I like to say thanks to you
And hear your mad stories I know they are not true
I like that we share a secret or two together

Little things you say to me
And nobody else make me feel good
Little things you say to me
Make me laugh out loud not when I should 
That's why I like to hang out with you
And never guess the next mad thing you do 
And I like that we make a mistake or two together

And you send me hundreds of letters 
And postcards where ever you go
And you lend me books that you love 
And god knows how much that shows 

_________________________
Mikey McCleary

Je Suis Charlie




"When activists need a pretext to justify their violence, they always find it.”


Wednesday, January 7, 2015

বাতির আলো নিভিয়ে দেওয়াই অন্ধকার নয়। কানের মাথা চেপে রাখা ঠোঁটের ওপর দিয়ে কম্বলের কার্নিশ উড়ে গিয়ে মস্তক ছেয়ে ফেলেছে এবং হাত দিয়ে শরীরের নিচে কাণায় গুঁজে রাখা বেষ্টনী। এবার কালো। এই জমাটের মধ্যে হাত খাড়া করে তাঁবু, পা খাড়া করে তপস্বী গিরিমালা। এই ঝুম দৃষ্টিহীনতায় লেনদেন নেই। ঠিকরে আসছে না কোনও অন্তর্মুখী জিজ্ঞাসা, অথবা আলো। কোন ভয়ের ধাপে ধাপে আসছে না ক্ষুদ্র থেকে দীর্ঘ হয়ে ওঠা ছায়াচরিত্র। আমি খেলছি আমার মতো। আমি ভাবছি কোনও রাত্রিজাগার কথা। পাইনের তেজ ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিল যেসব জ্যোৎস্না ও হিম হাহাকার, সেখানে। রাঙা হয়ে আসা এক উপত্যকা গিলে খেতে আসছে মেঘের কালো রাশ তিক্ততা। তবু তারা ভালমানুষ। কেই বা নিষ্কণ্টক। ধাতুফুলের কাঁচগুড়ো স্বাদ ভাসছে আর জলছবিতে স্পষ্ট হচ্ছে গোধূলি। পাশ ফিরে শুলে এধারেও অর্ধেক আকাশ। অনেকটা আঁকতে হবে যে। অন্ধকার তো একই রকম। নিজের ওমে নিজেকেই গরম রাখতে হয়, শীতও যায়না।