Tuesday, September 30, 2014

শ্রমিকের মৃতদেহের ওপর স্বস্নেহে পোড়ো জমির কাশফুল, অর্ঘ্যের ছাই ও গন্ধরাজ মটনের হাড়। তরুণ প্রতিবাদীর কবরের ইতিউতি ব্রহ্মচর্য ইস্তেহার, বিষাদের হাতধোওয়া ঘূর্ণি ও অদৃষ্ট আঁধার। ধর্ষিতার যূপকাষ্ঠে মখমল মাখানো চকচকে রক্তবীর্য, দামি সালোয়ার পিস ও আগের রাতে রড দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া রাস্তার সব কমদামি বাল্ব। পাইকারি সবজিওয়ালার মড়াগন্ধ চামড়ায় বসিরহাটের কালঘাম, বড়লোকদের রিটেলশপগন্ধ ও ভরবাজারে তিনটাকার লাভের প্যাঁদানি। আদিবাসি মরদের ট্রাইবাল রিট্রিটে কোমর বেঁকিয়ে নাচ, আমলাশোল, লিভারের ঢোল ও ডিনারের কেঁচো। বস্তিবাসীর সুখের কেবেলটিভি, দাদাদের আশ্রিত আশ্বাস ও মধ্যরাতে নিস্তব্ধ অগ্নিকান্ড। পরিচারিকার বন্দি ছুতো, নিশপিশ কর্ষণ ও গরম তেলের স্নান। প্রসবযন্ত্রণায় কাতর কুকুর মুখ রাখে গঙ্গার ঘোলা জলের দাউদাউ খোলা হাইড্রেন্টে - জলস্রোতে উদগারে সামাজিক বহমানতা, কি অবশ্যাম্ভাবী ধারাভাষ্য। প্রতিটা কর্কশ তৈলচিত্র, অগুনতি ট্যাঁরাবেঁকা শুক্রাণু উদ্ভ্রান্তের মত জীবনানন্দের দেশে স্থানগম্বুজ হয়ে আকাশের মাথায় পিসাব করে। ফোঁটার ছিটে লাগে সিমলের অপ্রশস্ত ঠিকেতে, কথামৃততে, সহস্র সহস্র মগজের আন্দলিত বাণী, বুলি, বক্তব্য, রচনাবলী ও রক্তে। রবীন্দ্রনাথের আলখাল্লা ভেজে, ডিরোজিও ও বিদ্যাসাগর। কার ঔরসে অ্যানার্কি জন্মাবে? শীতের ঘুমজ্বরে টপাটপ পাইট খোলে, সুস্তনবিভাজিকা ভেজায় ও চেটে হরষনাভিতে কামদুন্দুভি বাজে। কি ঘোর আকালে বিজলির আঁধারপরা পুকুরের ঘন কুয়াশায় নিথর তাকিয়ে থাকে শৃগাল ও সারস। পথিকের উড়ুনিতে আজ কোনও পথপ্রবর্তকের খই বা পুজ্য পাদ্যধূলি নেই, আছে কৃত্রিমতার ভরপুর জোগান, নীচতার বেমক্কা জয়গান, নিজস্বতার আকাটতীব্র বিরোধিতা। কোন নীতিকাব্যে লেখা থাকবে কখন দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে থাকব কাঠগড়া অপেক্ষায়, কখন আঘাত করব, কখন নির্ঘোষে শানাব শাক্তবাণ, দুর্দমে ধুলো হবে মেকি আয়ুধ। মায়ের মৌনতা কবেই ট্যাল্ট্যালে ডালের বাটি উলটে দিয়েছে, গলির মুখ ঝাঁট দিয়ে আজ ধ্যানবিন্দুতে কিচকিচে অস্বস্থি বুঝেছে, গুঁজে দিয়েছে এক বোতল জল, হজমের বড়ি ও জামিনের টাকা। খালি এক ঋত্বিক এইসব উদ্দাম স্রোতের মধ্যে আকণ্ঠ ভোগ, যে গড্ডালিকা প্রবাহই সত্য, খাঁটি, যে ভোগই মুক্তির পথ, যে বীভৎস মজা যে রংরঙ্গিন নগ্নিকা এখন বিরাজমান নেচে চলছে রাংতায় রোশনাইতে সেই দুর্ধর্ষ আলোকে ফিল্মের গুটানো রিল পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে তাতে নাপাম ও নাইট্রেট লাগিয়ে আলগোছে অগ্নিসংযোগ করে অতুলন হাস্যরসে মঞ্চে মিলিয়ে যান।               

Sunday, September 28, 2014

Hatescript

Hear they send you white foam to cover up 
Or twigs from the tree they cut down 
Fishes from designer aquariums where swiftly
life halts and hiccups 
I have never seen a them in the eyes, for the pavements blur my footsteps
and they surround me with what night fails to discern
hear you are proud, hear you are happy
Blessed must be
the lonliest healthy tree in the expanse
of tiring desert while I tear myself from the colours of the 
posters and burn them and eat them 
and when will I ever find the most acerbic word in the cosmos?
No one promises nothing, until you lose hold of your bowels and die all over your manuscripts and mayhem. 


Hatescript

How lights drain 
from the chambers of harem and 
shudder the chastity of the familial joviality 
the semen-clad sunset, licking nudity, seething
vehemence ready to ejaculate its wrath
on the acrid vomit bedsheets just by the side of thin walls where we visit 
on regular days,
and on the days when light are ripe, on the other side of the thin walls,
with wife and two kids,
laughing, loving and planning the next marital rape.  


Hatescript

The narrow corridor of dust has gathered on the edges 
of furniture, floorboards and f-
no let it be e-
existence. The belly-churning papers and letters, files and eyedrops, money and umbrellas
packets and plastics, my long-lost vices and lovesongs have all
specks of dust. They are waiting. I 
feel I should do something about tearing down the place
or falling asleep so that they
bind fast my wrists and tongue. 
Dust, I mean. For I wake up to zigzags of urine all over my place,   
half-burnt matchsticks, toothpicks, your lovely hatespit on my chest and
rosepetals from the cemetery. 


Friday, September 26, 2014

এখন যখন আর সন্ধে সাড়ে সাতটার সময় আর রিহার্সাল থাকে না তাই যেতেও হয় না ব্যানারজীদের বাড়ির সামনে দিয়ে ছোট্ট বুকে যতটা শ্বাস ধরে সম্পূর্ণ ভরে ওদের বাড়ির সামনে শিউলি ফুলের গাছের সামনে দাঁড়িয়ে ঘ্রাণের তীব্রতা জানান দিত ঠিক কতটা সময় বাকি এখনও মেপে রাখা প্রতি রাতে আর কটা মায়ালাগানো রাত পাব কাঙালের মত গুনে চলা আর এখন যে কচি টাকার গন্ধেও সে সুখের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভগ্নাংশ নেই সন্ধের ভেঙ্গে যাওয়া ঘুমে অন্ধকারে হাতরে হাতরে যখন ওকে খুঁজে পাই একরাশ ধুলোঝুল মেখে কোনাটায় অন্ধ হয়ে বসে আছে নগ্ন খোবলানো শিরা ফাটা তিক্ত চাউনি আমায় দেখে টালমাটাল শিহরণ খেয়ে গ্যাঁজলা তোলার আগে কালদ্রষ্টার মত অভ্রান্ত নাদগর্জনের মত মণিকোঠা চৌচির করে বলে 'তুই তো কবেই ঝরে গেছিস।'  

Wednesday, September 24, 2014

সেদিন যখন বাসে যাচ্ছি ঘামছি আর ঘামের গন্ধ হেলে পড়া অস্তিত্ব দীর্ঘকায় দীর্ঘশ্বাস অটোচালককে খিস্তি ধীরগতিতে ঘুমন্ত চাকা আর মন দিয়ে সিটের চামড়া খুঁটছি ছিঁড়ে ফেলেছি অনেকটা এখনও বেশ কিছুটা যেতে হবে রাস্তাও থকথকে বাকিটাও ছিঁড়ে ফেলব অমনি একগুচ্ছ প্রেসক্রিপশান হাতে ভদ্রলোক উঠলেন আর সবাই তটস্থ হয়ে গেল যারা নাক খুঁটছিল তারাও সজীব ভারাক্রান্ত কবি যারা ঘুমচ্ছিল তারাও মোবাইলে বাণিজ্য করতে লাগল যারা ইতিউতি মেয়ে দেখছিল তাদের নাকে কাগজ কেউ '৫০ ১০০ টাকার খুচরো পাবেন না' পড়েই চলল যেন ওনার দুর্গন্ধ সহ্য করা যায়না পাশ কাটিয়ে নেমে পড়ল যাদের দুটো স্টপেজ বাদে নামবার কথা আর তক্ষুনি উনি আমার সামনে এসে পরলেন আর আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েফেয়ে একসা হয়ে হাবলা হয়ে বললাম 'কিছুই তো নেই -' বললেন 'জায়গা তো আছে, মেয়েটা কয়েকদিনেই মরে যাবে তা বলে কি বসতেও দেবে না।'    

Tuesday, September 23, 2014

তখনও যখন আমাকে গোঁদলে করে খাইয়ে দিত মা আর আমি জানলার দিকে তাকিয়ে ভ্যা জুড়তুম দেখতুম ওই লোকটা আমার থেকে খুব কালোকেল্টু আর খুব নোংরা, সিকনি খুব গড়াচ্ছে গাছতলার নিচটায় কোত্থেকে দুতিনটে তেলপলের টুকরো দিয়ে নিজের আস্তানা গরেছে আর সেখান থেকে ভাঙ্গাচোরা নোংরা দাঁত বের করে মাথা দুলিয়ে হাসছে আমাকে মনভোলানো গান শোনাচ্ছে যা আমার কানে পৌঁছোইনি তখন সেই বয়সে কিন্তু বারো বছরে যখন ওঁর তেরপলগুলো কেউ সারিয়ে দেবেনা ওঁর খুব শরীর খারাপ সত্ত্বেও আর খাবার ও কেউ দেয়না সেরকম সেদিন সন্ধেতে জর বৃষ্টি পরেছিল আর লোডশেডিঙে আমি ওঁর গানই শুনে গেছি সারা সন্ধেতে আর বৃষ্টি থাম্লে মা যখন বলে খিচুড়ি হয়ে গেছে খেয়ে নিবি আয় আমি তখন তাকে কোনার ঘরে আবর্জনায় পরে থাকা ছিন্নভিন্ন কম্বলটা জড়াতে যাই ও দেখি গান গাইতে গাইতে কখন সে পরলোকে সমাধিস্ত হয়ে গেছে, তার শেষ গানের শেষ কয়েকটা স্বপ্নের শব্দ সুন্দরের মত তার মুখে হাসি হয়ে লেগে আছে।  
দুঃখ হয় যখন সেইসব শেষ ট্রেনে একা ভীষণ একা ফিরতে হয় বেলঘরিয়ায় আর ফাঁকাতে চারিদিকে খুব মুখে হাওয়া ঝাপ্টালেও কোনও ওড়না এসে পরেনি হয়ত কিছু রক্তের ছিটে আর সামনের সীটে বসে যিনি মাসের ভাড়ার টাকা গুনছিলেন খুচরোতে তার বহুদিন নৌকো না চাপতে পারার ছটফটে শোক, আর ওদিকে ছানার চ্যাঙ্গারি আর পরিচরহীন দুধের বড় ক্যানগুলো আপ-ডাউন করে নিজেদের কামরায়, দুধের স্রতে গড়িয়ে পরে যা চেটে চেটে খায় স্বাস্থ্যবতী বেড়াল কিন্তু প্লাটফর্মের ভিখারি মেয়েটা রোগা শুকিয়ে একদিন ভোররাতে হেঁচকি তুলে মারা যায়।    
Stars from fireflies can be a new template for visionary dystopic daydream. Who would have thought that basic deviation from slow-styled secretion is likely to create such furore among the punk-edged cyber lunatics and the chain currently identified as 'notoriety from the Wild North - machetes and mayhem from Sosjsanka'. This form of break-neck death production is in sync withe the falling snow and gathering angst on those cold shivering times. You can not do much other than ploughing the snow to clear the driveway to swerve your car to the nearest grocery or gas store only to find that inches of white snow has grown thick in your thirty minutes of absence. The feathers of the thick jackets are slowly flying careless in the stagnant winds and God knows who is adding air to their wings. Maybe God. Maybe the last exhale from the birds who went on to lay their lives for your warmth, or the corpses slowly germinating in your backyard, without giving off any smell, because you were too busy ploughing your front driveway in this hazy blizzard.      

Monday, September 22, 2014

হুতোম ও সহরে হেব্বি জনপ্লাবন

অম্নি অম্নি হুশ করে ভিরটির বেরে গ্যালো রাসতায়। বেস ধুলোটুলো উরল আর কতগুল সারমেয় কে জানে কার দুক্কে দুকরে উটল। কতো কতো নকজন কতো গাড়িদের ধুম ছোটছোট আন্দাবাচ্চা বুরোবুরি ডানপিটে। কতো নোক কি মোচ্চব। পুলিস ও কতো রে। কিন্তুক এরা ত সাইডে দাইরে অদের অপেক্কা কচ্চে। জাদের দেক্তে জর হএচে তাদের ছিতে ফতা দেকা জাচ্চে জেন সকাল্বেলা ঠিক ক্লিয়ার হইনি। আমি হুতোম কে জিগ্যেস কল্লুম কারা আসবে গো বল্লো অরা বল্লুম অরা কারা বল্লো জারা জগ ভালো ছুরতে পারে তাক আচে তবু এশিয়াডে জায়নি তারা বল্লুম হুজ্জত বাদাবেনা তো সহরে সুনে হুতোম এই মারে তো সেই মারে বল্লুম ক্যানও বলো না বলো না বল্লে তুমি দেকচি যে ইউ তে পরেচ কিন্তুক গাঁজাটা টিকটাক তান্তে সেকনি তাই এই নেলাখেপা অবস্তা তো বলি কি এদ্দিন ছোটছোট ক্যাম্পাসে খেলেচে গায়েগঞ্জে মিদিয়া নেই দেকে ছোটছোট কলেজ ইস্কুলে হুজ্জত করেচে তো বর মইদান পেয়ে এত্তু সয়াগ কব্বে না কি গোলপার্ক রামকেস্ত মিসনে সারদার পুজ দেবে কিযে বলিশ। তক্কুনি দেক্লুম সাকা নলা পরা হাতে এখনও সকালের রান্না হলুদ লেগে এমন জতেক রমনি দুকে স্লোগান দিচ্চে জাদভপুরে দুন্দুভি আম্রা তো আর সুনবোনি সুনে রাক হনু-হোনি বানাব কামদুনি কি উতকিস্ত স্লোগান মাইরি। এরা কিকরে ছাত্তছাত্তি তকন মহাকরনের দুজন রিটিয়ার কব্ব কব্ব এমন নোক বোধয় সেস বয়সে পিএইছডি তা করে ফেলি বেভে সিক্কাকেত্রে দুকেছে তারা আমাকে ঠেলা দিএ পাপরভাজা চিবুতে চিবুতে এগিয়ে গ্যালো। খিদে লেগেচিল বল্লুম মণ্ডা আচে সুনে হুতমের এই মারে তো সেই মারে বল্লুম ক্যানও বলো না বলো না বল্ল আজ যে উতসব রে আজ কেউ ছিক্যেন চারা মুকে তোলে পিসি পারসেল করে পাটিয়েছে আরেক্তু হেতে নে হিসু চেপে তাপ্পর গাচতলাতে বসে কাবো। বল্লুম সবাই জানে না সত্তি বলো অনেক্কিচু ক্যানো হাটচে জিজ্ঞ্যেশ করে দেকি হুতোম সাসাল খবরদার অইসব ছোটছোট কেলাস এইটের মেয়েগুলর মৌকিক নিয়ে পতিবাদের মনবল খুন্ন করবিনে। আমি সান্ত হএ গেলুম। মিচিল তকন মইদানে যারা পেম কচ্চিল তাদের পিটিএ লাইনে নামায় বল্ল সেসে সারপ্রাইজ আচে। আমি মনেমনে প্রমাদ গুনলুম অদের কবজি কেটে নইরাজ্জএ দিস্তান্ত স্থাপন করবে না দেবোস্রী উন্মুক্ত গ্রিবা ও অনান্ন দোলাবে সঙ্কায় রইলুম। অম্নি সকলে দেকি পার্কস্টিটের কাচটায় পউচে দউরে দউরে পার হচ্চে। আমি ভাব্লুম পুলিস তো মিডফিল্ডের এইপারে তো আম্রা ডরাচ্চি ক্যানো হুতোম বল্লে ছোট্টো ও সাজান কাচাকাচি এসে জাওায় বিকরসন মানে রিপালসান হচ্চে কুব জলদি হটে জা যদি কোন পসা ধরসনকারি কাচাকাচি ওত পেতে থাকে পিসি কি জানি কি ইন্সতাক্সান জাকগে জাকগে। আমি বল্লুম কে মিচিলে লিড কচ্চে বল্ল একদম পাকামি কব্বিনে তকে চিনি নামটা মুক দিয়ে বলিয়ে লিবি আর অপর তেকে সত্তজিতবাবু রেগে জান আরকি। অবসসো মাস্কেল পাওয়ারে কালিঘাটের পাণ্ডা গুলোও সুদ্দুসুদ্দু নজ্জা পেয়েচে বলচে আমাদের সিন্ডিকেত ছাত্ত পরিসদে নাম নেকাব সে কি কান্দ। বল্লুম সারুকখাঁ নাচবে না পিসির কপালে চুমো দিবে না এ কেমন কতা হুতোম বল্ল পার্থ একন সাম্লাচ্চে আমি বল্লুম পার্থ তো অস্ত্রেলিয়া আর আরেক পার্থ মহাভারতে সুনে হুতোম পোঁদে কসিয়ে লাথ দিল আর আমি ভ্যা করে কেদে ফেল্লুম। আমায় দেকে মেদিনীপুর ইউনিতের একজন বর নেতা এসে বল্লে এই অকে কেউ প্যাকেট দে প্যাকেট পাইনি তদের কোন সঙ্গঠন নেই ছি ছি কি যে করিশ।    


Sunday, September 21, 2014

বৃষ্টির কলতান

খানিক আগেও মনে হয়েছিল মোটামুটি তৃণভোজী ও পরমুখাপেক্ষী অচেনা বাকরুদ্ধ স্পষ্টত বক্র ও শিথিল, পড়ুয়া টেক্সটবুক তত্ত্ব পাতলা জং, খানিক আগেও মনে হয়েছিল অসহায় চিকেনখেকো ঘুমপালক বা ঝকঝকে অমাবস্যার নিশপলক বটের মতই স্থবির এবং হিসিসিক্ত তোষক, খানিক আগেও মনে হয়েছিল ডাগর ভুঁড়িতে রংচঙে বুদ্ধিমোড়ক আর নাছোড়বান্দা চোখ পিটপিট দ্যাখে কিন্তু কর্নিয়া হয়ে হৃদয়ে পৌঁছতে পারে না, জীবনকালাবধি তরঙ্গ পৌঁছতে হেব্বি ডিলে...

তবু আজ জোরসে বারিশ নামলো। এরকম বৃষ্টি হলে রাজপথে কোনোকিছু থাকেনা বিশেষ। ধুয়ে যায়, নালিনর্দমার মুখটা জ্যাম করে দেয়। পরে কিন্তু হাজারটা স্বস্তি বাঁড়া কেউ ঝাঁট দিচ্ছিল না, মেথরটাও উজবুক ল্যাদখোর আমার মলমূত্র আমিই সাফ করলে সিরিয়ালগুলো কি তোর শ্বশুর দেখবে। অনেকটা গরম গেছে, যখন খুব তেতে ছিল আর চাকাও আটকে হাঁসফাঁস কেলেঙ্কারি। তার আগে ভুল্ ভাল নুড়ি পাতা জমা হয়েছে কোনায়, ভিখারিটার কাঁথার চৌহদ্দিতে স্তরে স্তরে গন্ধগোকুল, এলোমেলো শামুক। এতসব কে সরাবে কেউ বলছিল না। হাল্কাফুল্কা গা কুটকুট করলে মলম লাগাচ্ছিল আর অ্যান্টেনার ওপারে মেলা শাড়ি আর জাঙ্গিয়ার ফাঁকফোকর দিয়ে নৈঋত দেখছিল আর বদহজম হলেও তড়পাচ্ছিল আর কইছিল ও তো পাঁচবছরে তিনদিন হওয়ারই আছে, কেন আবার সুচ ফুটিয়ে কষ তোলা। আমরাও গামছা পরে পান্তা আর ভোররাতে বিরিয়ানি উইথ মাঞ্ছুরিয়ান আর বাস্তুসাপকে বুকের দুধ। তারপর যেটা হল তা সারা বর্ষাকালেও, কি বলি, কস্মিনকালেও হানাময় ন্যাংটো ঢলঢলেগুলো ভেবে দ্যাখেনি। গাঁড় ফেটে শানদার টিকউডের দামাল দরজা মাইরি। সে কি ভুসভুস গন্ধ। নাদি আর টিকটিকির লেজ পুড়িয়ে তিনদিন চৌখুপ্পির মধ্যে ছিটকিনি দিয়ে রেখেছিল। দরজা খুলে মেঘগুলোকে শহরে স্বাগত জানাতেই ভেদবমির মত গল্ গল করে বাসি সবেদা আর লোকাল ক্লাবের চন্নমেত্ত আশটেপিষ্টে ঘুণপোকা ঘরময় ছিটকে থোকা থোকা পড়ল। কোন বাল পরিষ্কার করবে ওসব, শুনি? তাই বৃষ্টি এল। কি ঝমঝম রে বাবা, কি আওয়াজ, কি তেজ। প্রথমে ওপরের তপ্ত লেয়ারটায় ফুস ধোঁওয়া ওঠে, তারপর সেসব নিভে যায়। এলোমেলো প্রবাহিকা জড় হয়। অদের ধর্ম জানা আছে, ঠিক আবেগে আর যুক্তিতে মিশবে। আর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে চৌবাচ্চার তেলাপিয়াদের, স্ট্রেট গঙ্গাসাগরে। আমাদের বিষনির্যাসগুলোও গুলে গেল। ফেনা ফেনা বুদবুদ পচা বাদামি। প্রচণ্ড চেপে হিসু পেয়েছিল যাদের, তারা মুখেই করে দিল, আর বেশি ভাবল না। যারা খাওয়ার হুশ হুশ করে টানল। ফিনকি দিয়ে গ্যাসোলিন বেরচ্ছিল, আটকাতেই পারছে না কেউ সেলোটেপ দিয়ে ফেবিকল দিয়ে খিস্তি দিয়ে ক্যাঁচ ক্যাঁচ করে যৌনাঙ্গ ফুঁড়ে। শীতঘরের কাঁচে থ্রু দিয়ে কিসসু দেখা যায় না, ওয়াইপার ও নেই যে মাজাকি চুষব তাই ওদের কোমোড আর কুশনে ডুমো ডুমো লালপিঁপড়ে আর নীলনেকরে আর সবুজচিতা আর ঘনশকুন র‍্যান্ডম ঠুকরে গেছে আর তাগাদা দিয়ে গেছে। বড় বড় হোতাদের মগজ কেটে বাদ দিয়ে ড্রামে রক্ত ভরেছিল। তা দিয়ে ভিক্টোরিয়া কেওরাতলা চিড়িয়াখানা একডালিয়া এভারগ্রিন মিউজিয়াম হাওড়াব্রিজ কলেজস্কুয়ার সিটিসেন্টার জগুবাবুর বাজার মাছেরভেরি ড্রয়িংরুম বেশ্যালয় শয্যাদৃশ্য লালবাড়ি সবুজবাড়ি কাঁটাপুকুর পাব্লিক উরিনাল সর্বত্র লিখল অগামার্কা আঁতেলচিন্তা। না কি, শরতের বজ্রনির্ঘোষ। তাও কি না কমদামি সস্তার রক্তে। ওসব তো কলঘরে জল কম পরলে ছোঁচাতে লাগে। তাও নাগরদোলায় চড়তে চড়তে অনেক্কিছু উড়ুক্কু হয়ে বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল। আরশোলাদের মৃতদেহ জঙ্গম নাড়িভুঁড়ি বদবু ওক তোলা হেলাফেলাদের উচ্ছিষ্ট বহু অনাচারের বমি আর চিটচিটে ফেনা কৃমিদের শ্বাসনালী থকথকে পায়খানা ভর্তি ভর্তি রক্তপেচ্ছাপ হেরে যাওয়া শাসকতন্ত্র খাঁ খাঁ গুঠখার নামহীন ঔরস কুকুরদের ইঁদুরদের কাকদের ষাঁড়দের সাপেদের ব্যাঙ্গেদের পোঁদে লেগে থাকা শুকনো গু বছরকার আগের হলদেটে খোলস আর কাঠকয়লার শিরাশিরা দুয়েক পশলা অপরাধবোধ আর পাঁজরের কালো হয়ে আসা হাড় কিছুটা গা ঘিনিয়ে ওঠা গোলাপি মাসমজ্জা নরম রাং মাংসের মতই উরুর কাছটা কয়েকশো কালগোখরো ইস্তিরি করা স্বভাবদোষ দোনলা বিচারবানী রায়পত্র টাকনাদার পাঁঠার কষা দুর্দিনের মায়ের মুখের বাসি গন্ধ পেটফোলানো অবান্তর বেঁচেথাকা লাঠি এফিজি দম্ভ করালমুঠি নষ্ট হয়ে যাওয়া নারীশরীর নষ্ট হয়ে যাওয়া চাবুক ফেলনা পেটো আষাঢ়ে বেদমপ্রহার ক্যালানি মাজা ঘষে দেওয়া রগড়ানি আর ডলে দেওয়া পৈশাচিক লঙ্কাগুড়োয় ফুটন্ত তেল আর চড় খাওয়ার জন্যে সোজা থাকা আবার নুয়ে পরা আবার বাড়ি বয়ে আনা শাসানি শ্বাসরোধ শীতলঅস্তিত্ব এবং ওই যে বল্লুম হাজার হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গা দখল করেও কুঁচকি কামড়ে অবান্তর বেঁচেথাকা আর বেঁচেই থাকা ...

এত জল রাখিস কোথায় শহর, এত কান্না তোর?  

Friday, September 19, 2014

কিছু কলরব

রক্ত জেগে উঠেছে, কিছু পেলে রক্তের স্বাদ
কালশিটে উদ্বেগ, কালিপরা ক্লান্তিতে, কিছু কালো স্তম্ভিত রাত, যবে থাকে সুখে
ক্ষমতার ক্ষত, বিষপুঁজে ধারালো পুরুষত্ব
হাড়হিম শক্তিচাবুকে
রাতনেশা ধরা যাবে নরম, কি নরম, মোলায়ম ধারা -
থাক সে কথা, রাষ্ট্রের কুত্তারা
স্নেহের চুমু দেবে শিয়রে/অধরে
আজও তাই লোহার রড, ব্যাটনের ঝাঁজ
সানন্দে ডানপিটে মানুষ করে।।


প্রধানত সমস্যা একটাই, ক্ষমতার বশে তুমি নেই
আমি শালা পেশির পেয়াদা, তুমি তো আলতো কাঁপবেই
ক্যাম্পাসে হতে পারো প্রতিবাদীসুর/স্লোগান-বাঘিনী
তোমার কামিজ-ব্লাউজ-স্তন- যোনি
কিছু কিছু চিনি
বাকিটা নৈশহস্তক্ষেপে বুঝবো, বোঝাবো
আপাতত লাথি পরেছে, লাঠি পরেছে, এখনও তো পেট্রোল ঢালিনি
মাগি তোর ভাগ্যটা ভালো।



ডিলানে সুমনে কিছু ছিল উদ্ধত বীর
বহু পাল্টে দেব, গান গেয়ে, ভেবেছিল। ভাবে কি করে, কিছু তো দরকার
রাষ্ট্রের থাতির, সময়ে সময়ে
আগেও ভালবেসেছি, এখনও বাসছি, সরকারি চক্রাকার
বজ্রমুঠি ওঠে। নেমে আসে পক্ত শিরদাঁড়া
মর্মরমূর্তিতে কালি লেপতে উঠেপড়ে লেগেছিল যারা।


এত শ্যাওলা, কীট ধুলো - সরকারি দফতর না বাতিল শৌচালয় ?(বিভ্রম বটে)  
আবার কিছু ক্ষীণসুর দিগন্তে ছড়ায়, গলা গর্জায়, বিপ্লব আজও কিছু ঘটে
মূলে কোন অপতৃণ মাঝেসাঝে বুঝে নিতে হয়
বসন্ত এসে গেছে - আবর্জনা জড়, ঝরা পাতার সময়।


Tuesday, September 16, 2014

বসন্ত এসে গেছে...

গাছের তলায়, আদরে-অভিমানে, সুমহান প্রাপ্তিতে, বেপরোয়া উদ্যমে, প্রেমে।

বসন্ত এসে গেছে...

One pair of candy lips and your bubblegum tongue 

Thursday, September 4, 2014

The stark electric flare swirls around
gathering soft juices pink thick pieces easy bones and turgid hairs
comes back and strong
the flare frightens the lining, mucus frozen
a discharge to soak the bolt (a needle to soak the bolt?)
a blanket to soak the bolt (a stab to soak the bolt?)
a cold to soak the bolt (cold?)
to and fro running from the pleasing winds or cooler rooms
cold cold
stark electric flare
morgue-cold sleep, spine needs.

Wednesday, September 3, 2014

In unclear windy September days when hanging roots 
of trees long waiting, beneath which workmen with mechanical dexterity brush off the
remnants of jubilant foliage, for they still sway to singing breeze or sing to shimmering sun, 
unlike those who twist and wait, on those many aching daybreaks to 
slow hymns, bringing nothing but another profuse degeneration
where unnecessities clog up mindspace and bodybristles 
rusting them to further dried up
dust, uninspired sapless wilting
insignificance.

What care he takes to rake the leaves which swim and clog thickets of 
chilling nausea, of bilious existence.