Saturday, June 28, 2014

বারিশবিরহী

বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি মেখে ফিরছি
ঢেউ গুনেছে তিনদুনিয়ার মাস্তল
ঢুলতে থাকা বিদেশিনীর কাপ প্লেট
আলতো চুমুক বিরহে মন আজ তোর

আলোর রাজ্যে ঈষৎধন্য বাৎচিত
কাদার শরীরে জমাট সন্ধে টিপছাপ
ফেরার তাড়ায় রাতজোনাকি অস্থির
বৃষ্টিকে ভিনদেশী বলে জানতাম

পাতার গন্ধে কুহু ডাকল উল্লাস
দিনযাপনের বারুদ ভিজল না তো
গোপন চিরাগ ফুরফুরে খুব জ্বাললি
পথপেরোনোর হাত যাকে সামলাতো

থিতিয়ে কালো উঁচুতলার কাঁধটায়
কাজলধোওয়া আসমানরং মশগুল
মন্ত্রমুগ্ধে উৎসাহ পায় আব্দার
কোন হাওয়াতে দাপট পেল কার চুল


কোন বাঁকেতে বন্দি প্রাচীন প্রান্তে
অথৈ জলে আদরনৌকা ভাসত
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি মেখে ফিরছি
আবছায়াতে স্পষ্ট হাসি আজ তোর


_________


কালোরাস্তায় কাজলকালো আকাশ। কয়েকফোঁটা। কোরামঙ্গলম।  

Sunday, June 15, 2014

দিবারাত্রির শ্রুতিকাব্য

শীতের আলোয় দৃষ্টি মাঝে, মেঘ্মুলুকের আতসকাঁচে
কাঁপে ঝিরি রঙিনপুরের কান্নারা
দুরের সুতোয় আলতো চুপ, বুদ্ধু আমার সোহাগরূপ
ফিরতে থাকে আবার নরম ঘাড় নাড়া।

হাজার শিষের মর্জিনারা, শুকের সারি আত্মহারা
আত্মমগন ছটফটানি 'চল ঝুটো,
দূর হ তোরা' ধমক লাগাই - বাধ্যবিহীন সীমান্তে পাই
পেরিয়ে চলা রক্তে লাজুক শক্ত তাপের সিক্তশীতল হাতদুটো।

তুমি আমি সময়কালের খড়কুটো।।