Wednesday, January 7, 2015

বাতির আলো নিভিয়ে দেওয়াই অন্ধকার নয়। কানের মাথা চেপে রাখা ঠোঁটের ওপর দিয়ে কম্বলের কার্নিশ উড়ে গিয়ে মস্তক ছেয়ে ফেলেছে এবং হাত দিয়ে শরীরের নিচে কাণায় গুঁজে রাখা বেষ্টনী। এবার কালো। এই জমাটের মধ্যে হাত খাড়া করে তাঁবু, পা খাড়া করে তপস্বী গিরিমালা। এই ঝুম দৃষ্টিহীনতায় লেনদেন নেই। ঠিকরে আসছে না কোনও অন্তর্মুখী জিজ্ঞাসা, অথবা আলো। কোন ভয়ের ধাপে ধাপে আসছে না ক্ষুদ্র থেকে দীর্ঘ হয়ে ওঠা ছায়াচরিত্র। আমি খেলছি আমার মতো। আমি ভাবছি কোনও রাত্রিজাগার কথা। পাইনের তেজ ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিল যেসব জ্যোৎস্না ও হিম হাহাকার, সেখানে। রাঙা হয়ে আসা এক উপত্যকা গিলে খেতে আসছে মেঘের কালো রাশ তিক্ততা। তবু তারা ভালমানুষ। কেই বা নিষ্কণ্টক। ধাতুফুলের কাঁচগুড়ো স্বাদ ভাসছে আর জলছবিতে স্পষ্ট হচ্ছে গোধূলি। পাশ ফিরে শুলে এধারেও অর্ধেক আকাশ। অনেকটা আঁকতে হবে যে। অন্ধকার তো একই রকম। নিজের ওমে নিজেকেই গরম রাখতে হয়, শীতও যায়না।      

No comments:

Post a Comment

Your Thoughts ...