Sunday, May 4, 2014

দখলজবর পাথালউথাল

তোর যতটা সুরে গাইছে, শানিয়ে নিচ্ছে আদিমের প্রস্তরপ্রান্ত, যারা গজিয়ে আছে শার্সির রক্তশরীরে, শুয়ে বসে পলেস্তারা চাটছে, আবার হাঁকরে বেড়াচ্ছে জমা জলের মিহি স্বপ্নসম্ভার, সাদা শিষে ঘামের দাগে, আলগা হয়ে আসা খড়ে আবার প্রাচ্যের গ্যাসোলিন, স্বাভাবিক নখের ওপর কানের ওপর আলোর বিষের ওপর গোলাপবাগিচা, স্ট্রবেরীরঙা সন্ধে নামার সাথে সাথেই আরক্ত

তোর ঘনিয়ে আসা কোলবালিশের তীব্রতা, তোর খুলে রাখা কালো চামড়ায় অপরিবর্তনশীল ইতিহাস, কাঁধ থেকে ঝুলে যাওয়া অনেকটা অনেকটা ওড়না নাই বা উড়ল ছেলেগুলোর মুখ তাক করে, চেপে ধরে থাক বজ্রমুঠি এক্ষুনি এক্ষুনি ঐ নরম শব্দের বাঁকগুলোতে আর আমার ইতিউতি পেঁজা তুলো, ধুলোর ধুলো, আমের টক, ফরসা বাসনকোসনে, ঝুলবারান্দায় করুণা তুলে রাখগে যা, লাই দিবি পরিচিত কুত্তাদের

তোর খুব আগেকার পঞ্চম সূর্যের শালীনতা তাক করে ছুঁড়ে মারা অবিশ্বাস যখন কেউ কোনদিনও শুঁকবে, তখন তার শীত করবে কর্কশ, তারিফ জানাবে দূরপাল্লার নেগেটিভ থেকে ডেভালপ করা কোন এক ভিন্টেজ যেখানে বাদামি অন্ধকারে তুই হাঁটতে চেয়েছিলিস, পারিসনি, কারণ ঘুণপোকারা আজও সজাগ, পেয়ারাওয়ালারা টেটিয়া, আমার নীল পাঞ্জাবি তোর অভিজ্ঞতায় নোনা ধরাতে পারেনি বুজরুকি ওমে

তোর খোলা শরীরের সীমানায়, যেখানে আমার সত্যিই কিছু করার থাকে না, শ্লোকের মতো, শামুকের মতো, সেপিয়ার মতো, শিহরনের মতো, সততার মতো খেলা করে আনমনা, লাঞ্ছনা - আর সে দৌড়তেই থাকে, দৌড়তেই থাকে দৌড়তেই থাকে চিলচিৎকার - আর আমার সত্যিই কিছু করার থাকে না। 

No comments:

Post a Comment

Your Thoughts ...