আমাদের রেগুলার হাপিত্যেশ আর কুলীন বাদামভাজার মধ্যে যে কটাস করে চৌচিরের প্রথাগত লেনদেন আতাগাছের তোতার মতই প্রাণপ্রাচুর্যে উথালিপাতালি ও নোনাবালির মতই উরিব্বাপ নোনতা, তা তর্কের খাতিরে ব্যায়সাপেক্ষ তো বটেই । তাই এই পরের আসমানি কালো কবতে, যাতে কবি হাতেনাতে ছবি এঁকেছেন, দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে নিজেকে খিস্তি করেছেন, এবং শেষ পর্যন্ত বুঝিয়েছেন ব্রেন-ব্যায়াম তাঁর পক্ষে নির্দলের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের মত উজ্জ্বল ।
তোরে আমি শাড়ি দিব, খাঁজকাটা বড় কলসি
মায়ের দিব্বি আমি তোরে সত্যিকথা বলসি
ধুত্তোর! এর'মভাবে এগারোনম্বর পঙক্তিটি উড়ে, জুড়ে বসবে, জান্তেম নি । এই জন্যে বাবার প্রসাদ লিগালাইজ করা উচিত, সর্বজনউন্নতিপ্রকল্পস্বার্থে, মানবজাতির এভিএশন চরিতার্থে। অশালীনতার ও তো একখান শরীর থাকে, না কি? তাই পরের পার্ট -
মাখন দিব, দুধ দিব, চাইবি যতেক লঙ্কা
রাত্রিবেলা সোহাগ দিব ( ধুত্তোর আশঙ্কা!)
আবার ধুত্তোর কীসের? লঙ্কাই বা কেন, বাঙ্গাল নাকি! শিতলা যয্ঠীতে নিউ পারুল অর্কেস্ট্রা খাসা কোকিলকণ্ঠী "ঝাল লেগেছে (x২) ঝালে মরে যাই (x২)" নামিয়েছিল । বসন্ত কেবিনে যেই সেদিন মোটা মামলেট খেতে ঢুকছি অমনি মহেন্দ্রকণ্ঠে, "চুতিয়া, করাত গলায় রেখে পরের লাইনগুলো লিখিয়ে নিতে হবে না কি বাছাধন!" অতএব, বিধানসরণী থেকে ২২১ ধরে সোজা তিব্বত ।
আমি যামিনী তুমি শশী হে
কি ঝিলিক দিচ্ছ হে ম৺সিয়ে
"একটু মাংসটা চেখে দেখবি, রেঁধেছি কষিয়ে!" বালাই ষাট ! পাঁঠাকে যে অবজ্ঞা করেছে তাকে বর্ষায় আমর্হায্ট স্ট্রীটে চুবিয়ে নরকের কোথায় ফেলতে হবে তা দান্তে-ও লিখে যাননি । তাই সুরুয়া টা সুরুতসে লিপটিয়ে যেই না পর্ণগ্রাফির আঁচিল চুলকাচ্ছি অমনি কুত্তাগুলো ভোররাতের রেওয়াজ " নিঝুম সন্ধ্যায় ক্লান্ত পাখিরা, বুঝিবা পথ ভুলে যায় - ইত্যাদি" গেয়ে মেটিংধ্বনি আউরালো । এখন তো পচা ভাদ্দর নয়, তাহলে ক্যামনে?!
ভয় পেয়োনা, ভয় পেয়োনা, আমি তোমাকে মারব না
চটুল চমক দিচ্ছে ধমক, বিকিনি পরতে পারব না
ধ্যার, আজকাল দাঁড়িপাল্লার নিচে এত ম্যাগনেট লাগানো থাকে না, কোনকিছুরই মুল্য বোঝা দায় । এক্সেপ্ট দাড়ির প্রাইসভ্যালু, তর্কাতিত কেতাসুলভ ও দেবতাসিদ্ধ । বালিগঞ্জে বাসে "এই তো মানিকতলায়, দাঁড়া, পাঁচমিনিটে ঢুকছি", দাঁড়কাকও বিলুপ্তপ্রায় । তাই এই রাত্রিচৌপ্রহরে খানিকবৎ দাড়ি, থুরি, দারই, ধুশ, ডারি, আবে, দাড়ই, ধুচ্ছাই, দারী ...
জোরসে ঘুম লেগেছে । আশি ।
No comments:
Post a Comment
Your Thoughts ...