আজ আবার অনেকক্ষণ বসে আমরা। উৎসের লেখা অনেকটাই হয়ে এসেছে, মনে হয়। কষে চেপে রাখা মুখটা ছোট্ট হয়ে গেছিল, বিবর্ণ ঘৃণা, কবিতা হয়ে বেরিয়ে শিথিল হচ্ছে স্বাভাবিক। ওর কোলে শুয়ে শঙ্খিনী সকাল দেখছে। হাল্কা নীল রঙের শাড়িটা পরে এসেছে। আমরা 'অস্তরাগ' নিয়ে আলোচনা করছিলাম। সুব্রত বিকানেরের কথা তুলল। আজীবন নতুন নকশা খুঁজে যাবে, যেমনটা বেখেয়ালে ভেবে রেখেছে। অবশ্য সাম্য যে ভুল ছিল ও কথা বলায়, তাতে সবাই একমত। বিলাসিতার প্রশ্নই বা আসে কোথা থেকে? যে অ্যাজেন্ডা নিয়ে শুরু হল কনভেনশন, তার বিরুদ্ধ স্রোতে সবাইকে টেনে নিয়ে চললে সমালোচনার মুখে পড়তে হবেই। এরই মধ্যে আন্দ্রেই বুরহানের প্রসঙ্গ ঢুকিয়ে দিল। যাকগে! ঝড়ের গতিতে শিলাদিত্য এল, হাতে একগাদা কদমফুলের থোকা। কার কত রোয়াব আছে যে ওকে টলায়? মনে মনে হাসি পায়, আবার মায়াও লাগে। বড় আদুরে হচ্ছে সন্ধের শব্দেরা। বেয়াদপ হাওয়াটাও পাগলামিতে সায় দেয় মাঝেসাঝে, যেমন এখন। কোন সন্ধ্যাই সঙ্গীতহীন হয় না। আজ বহুদূরে বাদামবিক্রেতা। নোনা চকচক করছে পিতলের পাত, কার আসা যাওয়ার পথে। কারোর স্বর বিড়বিড় করে যাচ্ছে অচেনা অক্ষরদল। কে গাইছে রে, আমি তো শুনছি না। আমার পদ্মপাতায় শিশিরের রামধনু নেই। কেন বলত? একদিন সত্যিই কোথাও চলে যাবো যেখানে দরবেশিরা ধুলো মেখে কাঁদে। আছড়ে পিছরে ধুলো খায় যন্ত্রণা। রাধার কি মুক্তি, না, মৃত্যুর শিহরনে মুক্তি। ওই যে শীত এল বলে, একবারটি তাকিয়েই দ্যাখ না, সন্দীপন।
No comments:
Post a Comment
Your Thoughts ...